ধারণা পত্র

দিপ্ত -এ ফাউন্ডেশন ফর জেন্ডার এন্ড ডেভালপমেন্ট

দিপ্ত – এ ফাউন্ডেশন ফর জেন্ডার এন্ড ডেভালপমেন্ট এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নির্যাতিত নারী, হত দরিদ্র নারী ও কন্যা শিশুদের অধিকার বিষয়ক ইস্যুগুলো সর্ম্পকে সচেতনতা আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে স্বনির্ভর ও সাবলম্বি করে গড়ে তোলা।

ক্ষমতায়ন একটি আক্ষরিক অর্থে দিপ্ত ফাউন্ডেশনের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ্য। জেন্ডার সমতা টেকসই উন্নয়ন ও মানব অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীপ্ত ফাউন্ডেশন দৃঢ়ভাবে অঙ্গিকারবদ্ধ। এই লক্ষ্যে গুনগত পরিবর্তন আনয়ন করা দিপ্ত ফাউন্ডেশনের সূদুর প্রসারি পরিকল্পনা। এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের অভ্যন্তরে ও কর্মকান্ডের গতানুগতিক ধারার বাইরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত।

ফাউন্ডেশনের অভিনব প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নির্যাতিত নারীদের সম্পৃক্ত করে আর্থিক সামাজিক উন্নয়নে পার্টনারশীপের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির প্রয়াসটি ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়। ফাউন্ডেশনের জন্মলগ্ন থেকেই জাতি সংঘের নারী মর্যাদা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে দিপ্ত ফাউন্ডেশন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

বিশেষ লক্ষ্যনীয় দিক হলো যুবক শ্রেনীর সম্পৃক্তার মাধ্যমে তাদের অংশীদারিত্বের প্রতিফলন ঘটিয়ে উন্নয়নের ধারা বলিষ্ঠ করা দিপ্ত ফাউন্ডেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। ইতি মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা দিপ্ত ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম এবং নেতৃত্বে তাদের গঠনমূলক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করনে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে (৩০ জন , ইন্টার্নশীপ করেন) এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৩০ জন দিপ্ত ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডে এবং উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে কর্মরত আছেন। এই কর্মকান্ড দিপ্ত ফাউন্ডেশনের জন্মলগ্ন ২০১২ থেকেই শুরু হয়েছে। দিপ্ত ফাউন্ডেশনের অভিনব এবং ভিন্নতর উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার প্রয়াস দৃশ্যমান। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফাউন্ডেশনের ম্যনডেট অনুযায়ী টেকসই উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারীর অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় একটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। এই ধারাকে সমুন্নত রাখার জন্য দিপ্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য বৃন্দ; দায়ীত্বশীল, সততা এবং প্রজ্ঞার সাথে কর্ম পরিচালনা করার জন্য প্রতিশ্রতিবদ্ধ। নারী উন্নয়নে দিপ্ত ফাউন্ডেশন অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় একটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। এই ধারাবাহিকতায় ফাউন্ডেশনের বার্ষিক প্রতিবেদন সমূহ প্রতিষ্ঠানের তথ্য চিত্র। ধারনা পত্রটি ফাউন্ডেশনের একটি দৃশ্যমান ডকুমেন্ট হিসেবে বিবেচিত।

ভূমিকাঃ

দিপ্ত ফাউন্ডেশন একটি ব্যতিক্রমধর্মী স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। দিপ্ত – এ ফাউন্ডেশন ফর জেন্ডার এন্ড ডেভলাপমেন্ট মূলত: জেন্ডার সমতা, স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, নির্যাতিত,অতি দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া নারীদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রতিবদ্ধ

সেই প্রতিশ্রতি থেকে দিপ্ত ফাউন্ডেশন-এর আত্মপ্রকাশ। দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকের বাসভবন থেকে এর যাত্রা শুরু এবং প্রস্তুতিপর্বের সকল কার্যক্রম পরিচালিত ও সঞ্চালিত হয় । পরবর্তীতে একটি অস্থায়ী অফিস থেকে সংস্থার নিয়মিত কার্যক্রম চলতে থাকে। প্রায় চার মাস অতিক্রান্ত হবার পর দিপ্ত ফাউন্ডেশন তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় উঠে আসে। প্রারম্ভে এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা তহবিলের মূল উৎস ছিল নির্বাহী পরিচালকের নিজস্ব সঞ্চয় ও অনুদান নির্ভর। সুদীর্ঘ প্রায় চার দশক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাসমূহে কাজ করার সুবাদে তাঁর ব্যক্তিগত সঞ্চয়, প্রস্তুতিপর্বে দিপ্ত ফাউন্ডেশনের তহবিল গঠনে সহায়তা করেছে।

দিপ্ত ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য হলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, নির্যাতিত,অতি দরিদ্র ও অসহায় নারীদের অধিকার বিষয়ক ইস্যূসমূহতে সচেতনতা তৈরি, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন,কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর ও ¯ স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা। ‘ক্ষমতায়ন’ শব্দটি আক্ষরিক অর্থে দিপ্ত ফাউন্ডেশনের কাছে গভীরভাবে তাৎপর্যমন্ডিত ও অর্থবহ। জেন্ডার সমতা, স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দিপ্ত ফাউন্ডেশন দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। দিপ্ত ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য : জেন্ডার সমতা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুনগত পরিবর্তন আনয়ন। এই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে দিপ্ত ফাউন্ডেশন তার কার্যক্রম গ্রহণ করে।

প্রস্তুতিমূলক পর্বে ( জুলাই ২০১১) একটি খসড়া ধারণাপত্র প্রণীত হয়। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে কয়েক দফা বৈঠকের পর এই ধারণাপত্রটি চূড়ান্তকরণের কাজটি সম্পাদন করা হয়। উল্লেখিত যে ধারণাপত্রটি তৈরীর প্রক্রিয়ায় তদানিন্তন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় বর্তমানের মাননীয় স্পীকার শীরিন শারমিন চৌধুরীর পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্ববহ ছিল। এছাড়া তদানিন্তন মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের উপদেশ অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া সহযোগী বিভিন্ন দাতাসংস্থার সাথে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ধারণাপত্র উপস্থাপিত হবার পর দিপ্ত ফাউন্ডেশনের এর কার্যক্রম বাস্তÍবায়নের পরিকল্পনা সহযোগী দাতা সংস্থাদের বিশেষ দৃষ্টি আর্কষন করে এবং সংস্থা সম্পর্কে আগ্রহের ক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়। সংস্থার কার্যক্রম শুধুমাত্র দাতাদের অনুদান নির্ভর নয় , বরং গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন সম্পদের উৎস যেমন সরকার, প্রাইভেট ও করপোরেট সেক্টর, ব্যাংকিং খাত সমূহকে সম্পৃক্ত করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি ও নির্যাতিত নারীদের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে পাবলিক- প্রাইভেট পার্টনারশীপ তৈরী ও করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির প্রয়াসটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল হতে অনুদান সহায়তা প্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দিপ্ত – এ ফাউন্ডেশন ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট, জেন্ডার সমতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুনগত পরিবর্তন আনয়নে কাজ করছে। এর প্রেক্ষিতে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল অবধি সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক এর অর্থায়নে অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রান্তিক নারী গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ শীর্ষক প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে।

সংস্থার আইনগত ভিত্তি তৈরীর লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ ও নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন:

জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে ২০১২ সালে দিপ্ত – এ ফাউন্ডেশন ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট হিসাবে নিবন্ধিত হয়। ২০১৩ সালের ১৯ মে দিপ্ত – এ ফাউন্ডেশন ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট এন জি ও এ্যাফেয়ার্স ব্যূরোর নিবন্ধন লাভ করে। ফাউন্ডেশনের জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর নবায়ন ২০১৮ সালে আগামী ৫ বৎসরের জন্য সম্পন্ন হয়। দিপ্ত ফাউন্ডেশনের এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যূরোর ১০ বৎসরের জন্য নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

পরিচালনা পর্ষদ ও দীপ্ত ফাউন্ডেশন পরিচালন প্রক্রিয়া:
দেশের স্বনামখ্যাত ও প্রতিষ্ঠিত গবেষক, শিক্ষাবিদ,ব্যাংকার, কৃষি বিজ্ঞানী, আইন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং মানবাধিকার কর্মীদের সমন্বয়ে দীপ্ত ফাউন্ডেশন -এ সাধারণ পর্ষদ ও কার্যনির্বাহী পর্ষদ গঠিত । এদের মধ্যে সাধারণ পর্ষদে ২১ জন সদস্য ও দিপ্ত ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্য ৮ জন । উভয় পর্ষদে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দায়িত্বশীল, কর্মরত মননশীল এবং যশস্বী বলিষ্ঠ ব্যাক্তির প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।

কার্যনির্বাহী পরিষদ তার মূল কাজ হিসাবে সংস্থার কৌশলগত এবং নীতিগত দিক নির্দেশনা নিশ্চিতের পাশাপাশি সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচীর লক্ষ্য ও কৌশল স্থির করেন। তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সিদ্ধান্তগ্রহণে পারস্পারিক সমঝোতা তৈরীর প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কার্যনির্বাহী পর্ষদ তার ভূমিকা রাখে।

সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টিতে তাঁর সুদীর্ঘ চার দশকের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন এবং প্রয়োজনানুসারে উপদেষ্টা ও অবৈতনিক সদস্যদের নিযুক্ত করার ক্ষমতা তার ওপর রয়েছে।

সংস্থার অনুমোদিত স্মারক (মেমোরেন্ডাম) অনুসারে এই সময়কালের (২০১২-১৮) মধ্যে ২৮টি কার্যনির্বাহী পর্ষদের সভা (প্রতি বৎসর ৪ টি) এবং ৫টি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) যথাসময়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হয়।

দিপ্ত ফাউন্ডেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এম ও এফ -এর ভিত্তিতে একটি আচরণবিধি (কোড অফ কনডাক্ট ) প্রণীত হয়। এছাড়াও সংস্থা পরিচালনার জন্য কিছু নিয়মকানুন ও বিধিবিধান প্রনয়ন করা হয়েছে যার ভিত্তিতে দিকনির্দেশনা ও উপকরণসহ একটি ‘স্ট্যার্ন্ডাড অপারেশনাল প্রসিজিওর (এসওপি)’ প্রনয়ন করা হয়।

দিপ্ত ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম/প্রকল্প বাস্তবায়নে কৌশলগত পদক্ষেপ:

দিপ্ত ফাউন্ডেশন সরকার, প্রাইভেট সেক্টর ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগী সংস্থা ও প্রতিনিধির সাথে নেটওয়ার্কিং, বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠান ও প্ল্যাটফর্মের সাথে সহযোগীতা কওে অংশীদারীত্বের মাধ্যমে করপোরেট সোসাল রেসপন্সসিবেলিটি গড়ে তোলা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশীদারীত্ব ও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা বিভিন্ন এনজিও, সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠন সমূহ ও প্ল্যাটফর্মের সাথে সম্পৃক্ততা তৈরি করা সফল কৌশল ও সেরা অনুশীলনের প্রতিফলন ঘটানো ।

‘প্রান্তিক গোষ্ঠি ও সহিংসতায় আক্রান্তদের জন্য পাবলিক- প্রাইভেট পার্টনারশীপ ও করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিব্যালিটি গড়ে তোলার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি ’ শীর্ষক দীপ্ত ফাউন্ডেশনের তিনবছর মেয়াদী একটি ব্যাপক প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। জেন্ডার সমতা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠায় গুনগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে একটি ব্যাপক প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয় । প্রস্তাবনায় মূলতঃ প্রান্তিক জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও ফলপ্রসূ পদ্ধতিতে ক্রিয়াশীল থাকার দিপ্ত ফাউন্ডেশনের বৃহত্তর উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়। ত্রৈবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্যে দিপ্ত’র কিছু সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যাবলী ও প্রত্যাশিত ফলাফল স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয় ।

কর্মকর্তা- কর্মী নিয়োগ :

দিপ্ত ফাউন্ডেশন পরিচালক, কস্ট এ্যাকাউটেন্ট, চ্যাটার্ড এ্যাকাউন্টেন, সার্পোটিং স্টাফসহ মোট ১০জন কর্মকর্তা ও কর্মীকে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় নিয়োগ করা হয়। এ ছাড়াও প্রকল্প অনুযায়ী বিশেষায়িত জনবল প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগ করা হয় । দিপ্ত ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হত দরিদ্র, নির্যাতিত ও অসহায় নারীদের অধিকার বিষয়ক ইস্যু সমূহ হতে সচেতনতা তৈরী আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন কর্মকান্ডের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১২০০ বিভিন্ন পর্যায়ের ভলান্টিয়ারস আছে। নারীকে স্বনির্ভর ও সাবলম্বী করে গড়ে তোলা ফাউন্ডেশনের পরিকল্পনা। এর উপর ভিত্তি করে বার্ষিক পরিকল্পনা করা হয়। বর্তমান সরকারের ৭ম বার্ষিক পরিকল্পনা এবং এস. ডি. জি ২০৩০ কে সমুন্নত রেখে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা প্রক্রিয়াঃ

কার্যনির্বাহী পরিষদ তার মূল কাজ হিসাবে সংস্থার নীতির উপর ভিত্তি করে কৌশলগত দিকনির্দেশনা এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচীর লক্ষ্য স্থির করে। তথ্য ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দিপ্ত ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সম্পাদক ও নির্বাহী পরিচালক এবং তার অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

বার্ষিক সাধারণ সভায় বার্ষিক কার্য পরিকল্পনা ও বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হয়। দিপ্ত ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম প্রকল্প বাস্তবায়নের কৌশলগত পদক্ষেপ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়, অর্থ মন্ত্রনালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ঠ সংস্থা যেমন প্রাইভেট সেক্টর, সামাজিক সংগঠন সমূহের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ ও এ্যাডভোকেসি করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এন. জি .ও সুশীল সমাজ ও প্লাটফর্মের সাথে সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে। অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কর্পোরেট স্যোসাল রেসপন্সিবিলিটি গড়ে তোলা, জাতীয় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দিপ্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশের জেন্ডার সমতা পর্যায়ে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অব্যাহত আছেন। বিভিন্ন এন জি ও সুশিল সমাজের প্রতিষ্ঠান সমূহ ও প্ল্যাটফর্মের সাথে সম্পৃক্ততা তৈরী করা সকল কৌশল ও সেরা অনুশীলনের প্রতিফলন ঘটানো দিপ্ত ফাউন্ডেশনের কাজের অংশ।